সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

অ্যান্ড্রয়েড ব্যাবহার করছেন কি? তাহলে আপনার জন্য ১০টি উপকারি টিপস।



অধিকাংশ ব্যবহারকারীর কাছেই অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম চালানো সহজ। আর অ্যান্ড্রয়েড একটি উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম হওয়ায় যে কেউ এতে ইচ্ছেমতো পরিবর্তন করে পারে। আর এ কারণেই অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীদের সুযোগ রয়েছে একে মনের মতো করে সাজিয়ে নেওয়ার। এতে প্রয়োজন অনুযায়ী যেমন ব্যাটারি লাইফ বাড়ানো সম্ভব তেমন গতিও বাড়ানো সম্ভব। এ লেখায় থাকছে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য তেমন ১০টি টিপস।

প্রথম ধাপ>>> পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্টের জন্য ‘গুগল নাও’
পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্টের প্রয়োজনে ব্যবহা

র করুন ‘গুগল নাও’ অ্যাপ। এজন্য গুগল অ্যাপে গিয়ে ‘গেট গুগল নাও’ লিখে ট্যাপ করলেই হবে। এরপর আপনার প্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন সেট করুন।

২য় ধাপ>>> লাঞ্চার ও লক স্ক্রিন বদলান
প্রতিদিন একই আবহাওয়া উইজেট দেখে আপনি ক্লান্ত? গুগল প্লে স্টোর থেকে আপনি এমন অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারবেন যা, আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ইন্টারফেস বদলে দেবে। এজন্য অ্যান্ড্রয়েড লাঞ্চার ও লক স্ক্রিন রিপ্লেসমেনট সার্চ করুন।

৩য় ধাপ>>> পাওয়ার সেভিংস মোড আনুন
আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস যদি প্রায়ই ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে

যাওয়ার সমস্যায় পড়ে তাহলে পাওয়ার সেভিংসের কথা ভাবতে পারেন। এজন্য সেটিংস মেনুতে গিয়ে পাওয়ার সেভিংস মোড অন করুন। কিছু অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে রয়েছে এজন্য নানা ফিচার। যেমন গ্যালাক্সি এসফাইভে রয়েছে আল্ট্রা পাওয়ার সেভিংস মোড। এর মাধ্যমে কল, টেক্সট, ইন্টারনেট ব্রাউজ ইত্যাদি সব কাজেই পাওয়ার সেভ করা সম্ভব। তবে সব অ্যান্ড্রয়েড ফোনে পাওয়ার সেভিংস মোড নেই।

৪র্থ ধাপ>>> অতিরিক্ত একটি ব্যাটারি রাখুন
প্রায় সব অ্যান্ড্রয়েড ফোনেরই ব্যাটারির সমস্যা রয়েছে। আর সব সময় চার্জের ব্যবস্থাও হাতের কাছে থাকে না। এ সমস্যা অনেকাংশে সমাধান করা সম্ভব বাড়তি একটি ব্যাটারি ব্যবহার করে। চলার পথে ব্যবহার করতে করতে ব্যাটারি শেষ হয়ে গেলে চট করে এটি বদলে নেওয়া সম্ভব।

৫ম ধাপ>>> গুগল অ্যাকাউন্টের সুবিধা নিন
আপনার গুগল অ্যাকাউন্টের সুবিধা নেওয়ার জন্য গুগল ক্রোম ব্রাউজারে লগইন করতে পারেন। এতে আপনার বুকমার্ক ও অগ্রাধিকারগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসবে।

৬ষ্ট ধাপ>>> অ্যাপগুলো ফোল্ডারে সাজান
আপনার প্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো ভিন্ন ভিন্ন ফোল্ডারে সাজিয়ে রাখুন। এর ফলে প্রয়োজনের মুহূর্তে অ্যাপ খুঁজে বের করার ঝামেলা কমে যাবে। ফেল্ডার তৈরির জন্য অ্যাপটির আইকনের ওপর আঙুল ধরে তা ড্র্যাগ করে উপরের বাম পাশে ‘ক্রিয়েট ফোল্ডার’-এ নিয়ে যান।

৭ম ধাপ>>> থার্ড পার্টি কিবোর্ড
আপনার ডিফল্ট কি বোর্ডে যদি টাইপ করতে সমস্যা হয় তাহলে তা বদলে ফেলার সুযোগ রয়েছে। এজন্য গুগল প্লে স্টোরে বহু অ্যাপ পাবেন, যেগুলো ব্যবহার করে সহজেই টাইপ করা সম্ভব।


 ৮ম ধাপ>>> ধাপ ক্রোমে ব্যান্ডউইথ ম্যানেজমেন্ট ব্যবহার করুন
আপনার যদি ইন্টারনেটের ডেটার লিমিট দ্রুত শেষ হয়ে যায় তাহলে ক্রোমের ব্যান্ডউইথ ম্যানেজমেন্ট ব্যবহার করুন। এতে অপ্রয়োজনীয় ডেটা বাদ দিয়ে ব্যান্ডউইথের সর্বোচ্চ ব্যবহার করা সম্ভব হবে। প্রয়োজনে ছবিগুলোও এটি ছোট ফরম্যাটে নিয়ে এসে ব্যান্ডউইথের সাশ্রয় করতে পারে।

৯ম ধাপ>>> গুগল অ্যাকাউন্টের সুরক্ষায় অথেনটিকেটর ব্যবহার
আপনার গুগল অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত থাকলে গুগল অথেনটিকেটর ব্যবহার করুন। এটি দুই পর্যায়ে অ্যাকাউন্ট ভ্যারিফিকেশন করে। ফলে লগইন করার সময় পাসওয়ার্ডের পাশাপাশি একটি কোডও জেনারেট করার প্রয়োজন হয়।

১০ম ধাপ>>> ডিফল্ট অ্যাপস বদলান
কোনো লিংকে ক্লিক করলে যে ব্রাউজারে তা ওপেন হয় তা কি বদলাতে চান? এ ধরনের কাজে ব্যবহৃত ডিফল্ট অ্যাপ যদি বদলাতে চান তাহলে সেটিংসে গিয়ে অ্যাপ সংলগ্ন ক্লিয়ার ডিফল্ট বাটনে চাপ দিন।

ব্যাস এখন আপনি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করুন মনে আনন্দ নিয়ে ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Static keyword কি এবং এর ব্যবহার ।

Static keyword : Static এমন একটি এই keyword যেটাকে একবার প্রোগ্রাম একবার ডিক্লিয়ার করলে তার প্রোগ্রাম শেষ না হওয়া পর্যন্ত Distroy হবে না । Static keyword বিভিন্ন ক্ষেত্তে ব্যবহার করতে পারি । যেমন , Static  variable হিসেবে ,Class এর  Member Variable হিসেবে , Class এর Member Function হিসেবে। Static variable এর ক্ষেত্রে : Static keyword টাকে কোন একটা  variable এর সামনে ডিক্লিয়ার করতে পারি ।  একটাবার ডিক্লিয়ার করলে প্রোগ্রাম শেষ না হওয়া  তার Address টা Distroy হয় না অর্থাৎ সেই ভ্যরিয়েবল এর মান স্থায়ী ভাবে সংরক্ষণ করা থাবে যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রোগ্রামটা শেষ হয় । মানে কোন Static variable এর মান যদি ০ থেকে ১ বাড়ানো হয় এবং কোনো কারণে যদি আবার সেই ফাংশন কে কল করা হয় সেক্ষেত্তে সেই ভ্যারিয়েবল এর মান ১ থেকেই শুরু হবে। #include using namespace std; void fun(){ static int a; int b=0; cout<<++a<<" "<<++b<endl; } int main() { fun();//1 1 fun();//2 1 return 0; } Class এর Member Variable হিসেবে : আমরা যদি কোনও ক্লাস এর ভিতর Static member

এন্ড্রয়েড স্মার্টফোনের ৪০টি গুরুত্বপূর্ণ সিকিউরিটি কোড (বাংলা বর্ণনা সহ)

এন্ড্রয়েড স্মার্টফোন এখন মানুষের হাতের মুঠোয়।এসব ফোনের বিভ্ন্নি তথ্য জানার জন্য রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন সিকিউরিটি কোড।প্রয়োজনের মুহূর্তে অনেক সময়ই এসব কোড মনে থাকে না বা হাতের নাগালে খুঁজে পাওয়া যায় না।জেনে নিন এন্ড্রয়েড স্মার্টফোনের ৪০টি গুরুত্বপূর্ণ সিকিউরিটি কোড। ফোনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিকিউরিটি কোড *#06# – IMEI নাম্বার প্রদর্শন করবে। *2767*3855# – ফ্যাক্টরি রিসেট কোড (ফোনের সব ডাটা ডিলিট হয়ে যাবে)। *#7465625# – ফোনলক স্ট্যাটাস। *#*#4636#*#* – ফোন এবং ব্যাটারি সংক্রান্ত তথ্য। *#*#2664#*#* – টাচস্ক্রীন টেস্ট কোড। *#*#273282*255*663282*#*#* – সকল মিডিয়া ফাইল ব্যাকআপ করার কোড। *#*#197328640#*#* – সার্ভিস টেস্ট মোড কোড। *#*#1111#*#* – FTA সফটওয়্যার ভার্সন। *#*#1234#*#* – PDA এবং firmware ভার্সন। *#*#232339#*#* – Wireless LAN টেস্ট কোড। *#*#0842#*#* – ব্যাকলাইট ও ভাইব্রেসন টেস্ট কোড। *#12580*369# – সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার ইনফর্মেশন। *#9900# – সিস্টেম ডাম্প মোড। *#9090# – ডায়াগনস্টিক কনফিগারেশন। *#*#34971539#*#* – ক্যামেরা ইনফর্মেশন। *#872564# – ইউএসবি

রুট করুন Walton Primo GH6 TWRP RECOVERY এর মাধ্যমে ।

১মে এখান থেকে TWRP RECOVERY টা ডাউনলোড করেন নিন। ফ্লাশ কিভাবে করবেন তা আমার ১ম টিউটোরিয়াল লেখা আছে। সব রিকভারি ফ্লাশ করার একই নিয়ম তাই আমি আর লেখছি না কিভাবে ফ্লাশ করবেন । ১ম টিউটোরিয়ালটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন । যেভাবে CWM RECOVERY ফ্লাশ করছিলেন ঠিক একই ভাবে ফ্লাশ করবেন । শুধু CWM RECOVERY এর জায়গাই এখান হতে ডাউনলোড করা TWRP RECOVERY টা সিলেক্ট করবেন । আর কিভাবে TWRP RECOVERY এর মাধ্যমে রুট  করবেন তারজন্য নিচের দেয়া ভিডিওটা দেখেন ।। তবে হ্যা Supersu.zip FILE টা আপনাকে অবশ্যই SD CARD থাকা লাগবে ।   SuperUser.zip টা ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করেন ।। তার যা করা লাগবে সব ভিডিও তে দেয়া আছে ।